ভ্যাকসিন গ্রহণে বিলম্ব ও সার্টিফিকেট অফ প্রফিসিয়েন্সি (সিওপি) পেতে দীর্ঘসূত্রিতা ও জটিলতার কারণে মেরিন ইঞ্জিনিয়াররা বিদেশি শিপিং কোম্পানিগুলোতে চাকরি পাচ্ছেন না। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী মেরিন ক্যাডেটসহ বাংলাদেশের আট হাজার সী-ফেয়ারার (সমুদ্রগামী জাহাজের নাবিক) কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের জন্য নিবন্ধন করলেও খুব অল্পসংখ্যক নাবিক ভ্যাকসিন পেয়েছেন। এ ছাড়া সিওপি প্রদানের অহেতুক দীর্ঘ কালক্ষেপন করছে নৌ পরিবহন অধিদপ্তর। এ দুটি জটিল সমস্যার কারণে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশী মেরিনারদের চাকরির বাজার হারানোর উপক্রম হয়েছে। অথচ মেরিনাররা প্রতি বছর ৪৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আনছেন; যা  জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

আজ শনিবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন (বোমা) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়। ‘বিশ্বায়নের যুগে মেরিটাইম সেক্টরের আধুনিকায়ন : পুঞ্জিভূত সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আনাম চৌধুরী। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সহ-সভাপতি মেরিন ইঞ্জিনিয়ার মো. মাহবুবুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি ক্যাপ্টেন গোলাম মহিউদীন কাদরী, ট্রেজারার চিফ অফিসার মো. আলী হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য মেরিন ইঞ্জিনিয়ার কাজী মো. আবু সায়ীদ, মেরিন ইঞ্জিনিয়ার অঙ্গন দাস প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, উচ্চ করোনাঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে কোনো ভ্রমণকারী/যাত্রী র‌্যাপিড টেস্টের (অ্যান্টিজেন টেস্ট) নেগেটিভ ফলাফল ব্যতীত ইউরোপিয়ান দেশসমূহে প্রবেশ করতে পারছেন না। সে সকল দেশ থেকে বাংলাদেশি মেরিনারদের সাইন অনের জন্য র‌্যাপিড টেস্টের নেগেটিভ  ফলাফল বাধ্যতামূলক। এই টেস্ট বিমানে ওঠার চার ঘণ্টা আগে করতে হয়। সেজন্য হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরসহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসমূহে র‌্যাপিড টেস্টের ব্যবস্থা প্রয়োজন। সংগঠনের নেতারা আরো বলেন, বিদেশি পতাকাবাহী জাহাজে কর্মসংস্থান ধরে রাখা এবং সুযোগ বৃদ্ধির জন্যে বাংলাদেশি নাবিকদের নতুন পাসপোর্ট প্রদান ও নবায়ন কার্যক্রম আবেদনের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সম্পন্ন করা প্রয়োজন। এছাড়া সমুদ্রগামী জাহাজ থেকে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনে ইচ্ছুক নাবিকদের পক্ষে সশরীরে দূতাবাসে উপস্থিত হয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্ট নবায়ন এবং ইলেকট্রনিক ট্রাভেলপাস সংগ্রহ করা অসম্ভব হয়ে যায়। এজন্য সমুদ্রগামী জাহাজে কর্মরত বাংলাদেশি নাবিকদের স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের সুবিধার্থে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিদেশে বাংলাদেশি দূতাবাস/মিশনসমূহে পাসপোর্টের কপির মাধ্যমে নাবিকদের জন্য ইলেকট্রনিক ট্রাভেল পাসের (ইটিপি) ব্যবস্থা করতে হবে।

সূত্রঃ KALERKANTHO.COM