বিএমএমওএ’র সভাপতি ক্যাপ্টেন মো. আনাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাধারণ সম্পাদক মো. সাখাওয়াত হোসাইন। এসময় বিএমএমওএ’র সহ-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইফতেখার আলম উপস্থিত ছিলেন।
বক্তব্যে বলা হয়, ওলভিয়া বন্দরে বাংলার সমৃদ্ধি আক্রান্ত হওয়ার পর হাদিসুরের মরদেহ ও জীবিত নাবিকদের উদ্ধারে চেষ্টা শুরু হয়। প্রথমে ইউক্রেনের বেসরকারি একটি সংস্থা নাবিকদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশের বাংলাদেশ দূতাবাসে হস্তান্তর করতে পারবে বলে জানায়। এরপর বিএমএমওএ’র পক্ষ থেকে বিষয়টি নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে জানানো হয়। মূলত নৌ-পরিবহন অধিদপ্তর ও উদ্ধারকারী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির সঙ্গে সংযোগ তৈরি হওয়ার পর ২৮ নাবিক ও হাদিসুরের মরদেহ উদ্ধার সম্ভব হয়।
আরও বলা হয়, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) জাহাজ পরিচালনায় গাফিলতি তদন্তে বিএমএমওএ’র পক্ষ থেকে দাবি জানানো হলে মন্ত্রণালয় থেকে গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি। কিন্তু বিএমএমওএ’র কোনো প্রতিনিধিকে কমিটিতে রাখা হয়নি। ৩০ দিনের মধ্যে ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করার কথা থাকলেও এখনো তা পায়নি বিএমএমওএ। এছাড়া বিএসসির পক্ষ থেকে হাদিসুরের মৃত্যুর উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা থাকলেও এখনো দেওয়া হয়নি।
ক্যাপ্টেন মো. আনাম চৌধুরী বলেন, বিএসসির পক্ষ থেকে হাদিসুরের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে দেরি হচ্ছে। অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক।
সাধারণ সম্পাদক মো. সাখাওয়াত হোসাইন বলেন, ১০ সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও বিএসসি এখনো নিহত হাদিসুরের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
বিএসসির মালিকানাধীন জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ ডেনিশ কোম্পানি ডেল্টা করপোরেশনের অধীনে ভাড়ায় চলছিল। মুম্বাই থেকে তুরস্ক হয়ে জাহাজটি ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের ওলভিয়া বন্দরে যায়। সেখান থেকে সিমেন্ট ক্লে নিয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি ইতালির রেভেনা বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কথা ছিল জাহাজটির। এর আগেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হলে ২৯ জন ক্রু নিয়ে ওলভিয়া বন্দরে আটকা পড়ে এটি। পরবর্তীতে ২ মার্চ রকেট হামলায় হাদিসুর রহমান মারা যান। তবে অন্য ২৮ জনকে অক্ষত অবস্থায় জাহাজ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
এরপর হাদিসুরের মরদেহ ও বেঁচে যাওয়া ২৮ নাবিককে ৫ মার্চ বাংলাদেশ সময় দুপুরে ওলভিয়া বন্দর সংলগ্ন বাংকার থেকে সরিয়ে রোমানিয়ায় নেওয়া হয়। ৯ মার্চ ২৮ নাবিক রোমানিয়ার বুখারেস্ট বিমানবন্দর থেকে তার্কিশ এয়ারের একটি ফ্লাইটে ইস্তাম্বুল হয়ে ঢাকায় ফেরেন। এরপর ১৪ মার্চ হাদিসুরের মরদেহ আনা হয় দেশে।
সূত্রঃ https://www.jagonews24.com/